এখন সেলফি লাভার নেই এমন ছেলে মেয়ে খুবই কম। পুজো থেকে শুরু করে বাড়ির কোন অনুষ্ঠান, প্রত্যেকটি জায়গাতে সেলফি তুলেছেন। কিন্তু সবার মোবাইলে তো আর দামি ক্যামেরা থাকে না। তাই ছবির কোয়ালিটি ভালো হয় না, পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন apps এর মাধ্যমে ছবিটির জেল্লাই কিছুটা বাড়িয়ে তুললেও। ছবির বিষয়বস্তু কিন্তু ঝাপসাই থাকে। এতে লাভ কিছু হয় না, ছবিটিকে ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করার মত উপযুক্ত হয়ে ওঠে না।
যখন অফিস-কোম্পানি কিংবা স্কুল থেকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় আমরা সেলফি তুলে থাকি, প্রকৃতির ফটো তুলে থাকি, কিন্তু ভালো ক্যামেরা না থাকার কারণে ফটোর কোয়ালিটি স্পষ্ট হয় না। তাই আমরা বিভিন্ন অ্যাপস এর দ্বারা ছবিটিকে কিছুটা উজ্জ্বল করে তুললেও। বিষয়বস্তু কিন্তু স্পষ্ট হয় না, যার কারণে সেগুলোকে ফেসবুকে কিংবা Instagram অথবা অন্যান্য সোস্যালমিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম গুলিতে শেয়ার করার উপযুক্ত হয়ে ওঠে না।
এই কারণে আমরা যারা ইয়াং জেনারেশন রা রয়েছি, তারা বলে থাকি ক্যামেরার কোয়ালিটি ভালো না। মোবাইলের ক্যামেরা লো কোয়ালিটি, আবার কেউ কেউ বলে থাকে। হাই কোয়ালিটি ক্যামেরা ছাড়া ছবি ভালো উঠবে না। কিন্তু সবার পক্ষে তো আর আইফোন, ডিএসএলআর কেনো সম্ভব নয়। যার কারণে আমরা আজ আপনাকে কিছু টিপস এন্ড ট্রিক শেয়ার করব। যেগুলো আপনি আপনার লো কোয়ালিটি ক্যামেরা, কমা দামের মোবাইলটিতে ছবি তোলার সময় খেয়াল রাখলে ফটোর কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো আসবে।
ফটো তোলার সময় কোন কোন বিষয়গুলি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে?
মোবাইল ক্যামেরা সেটিংস এন্ড ফিচার: আপনার মোবাইলে ক্যামেরা সেটিং টীকে আপনার বন্ধু হিসেবে বেছে নিন। আপনি যেমন আপনার নিজের পার্সোনাল বন্ধু জীবন যাপন সম্পর্কে নজরদারি চালান। ঠিক সেই ভাবে আপনার মোবাইলে থাকা ক্যামেরার সেটিংস এবং ফিচারগুলি নিয়ে ভালো করে নজরদারি করুন। দেখুন ক্যামেরার কোন সেটিংসে কি কাজ হচ্ছে। কোনটা করলে কি হয়, সেগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। আপনি যদি আপনার স্মার্টফোন ক্যামেরাটি সেটিং সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক থাকেন। তাহলে ইউটিউবে অথবা গুগলে আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরাটি নামটি লিখে সার্চ করলেই বিভিন্ন কিছু শিখতে পারবেন।
ফটোর বিষয়বস্তু এবং এট্রাক্টিভ: ধরুন আপনি কোথাও বেড়াতে গেছেন, কিংবা আপনার বাড়ির পাশে কোন ঝিল কিংবা খালের ফটো ক্যামেরা বন্দি করতে চাইছেন। সেই জায়গায় আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যে ওই ঝিলটি কিংবা ওই পাহাড়টির আশেপাশ দিয়ে কোন সড়ক কিংবা রাস্তা যদি গিয়ে থাকে। অন্যান্য কোন বিষয় যদি থাকে কোন নদী তাহলে পাহাড়টির সঙ্গে ওই নদীটি কিংবা রাস্তাটিকে ক্যামেরার মধ্যে বন্দি করার চেষ্টা করুন। তাহলে মানুষের কাছে ছবিটি আরো এট্রাকটিভ লাগবে। ঠিক তেমনি ছবিটিকে বুঝতে সুবিধা হবে। আসলে এই পাহাড়টি কিংবা এই লেকটি কোথায় কোন রাস্তার ধারে অবস্থিত।
Grid সেটিংস: দেখুন এখন প্রায় প্রত্যেকের মোবাইলেই এই সেটিংসটি রয়েছে। যেটি হচ্ছে Grid সেটিংস বা পডর্দা। এটি আপনার মোবাইলের ডিসপ্লে কে নয়টি বক্সে ভাগ করবে। যখন আপনি কোন ফটো তুলতে যাবেন, ওই নয়টি বক্সের সেন্টার পয়েন্টে আপনার ছবির মেন বিষয়বস্তুকে রাখার চেষ্টা করবেন। এবং ফটো ক্যাপচার করবে। দেখবেন আপনার ছবিটা কোয়ালিটি এবং দৃশ্যমানতা অনেকটাই ভালো এবং সৌন্দর্যপূর্ণ হবে।
ফটো তোলার বেস্ট টাইম গোল্ডেন আওয়ার: আমরা যারা কম বেশি প্রত্যেকদিন ফটো তুলে থাকি। কিংবা ক্যামেরা ফটো নিয়ে নাড়াচাড়া করে থাকি। তারা এই বিষয়টি জানে যাকে বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার। এটি আসলে এমন একটি সময় যে সময় সূর্যের তীব্রতা এত বেশি থাকে না। পাশাপাশি আকাশে-প্রকৃতির-গাছে,মাঠে, ঘাসের মধ্যে এক সোনালী কালার ঘিরে থাকে সেই সময়। ফটোর কোয়ালিটি খুবই ভালো হয়ে থাকে। সময়টি হচ্ছে সকালে সূর্যোদয়ের সময় এবং সন্ধ্যা সূর্যাস্তের সময় এই সময় ফটো সবথেকে ভালো উঠে থাকে।
নানান অ্যাঙ্গেলে ফটো তোলার চেষ্টা করুন: আপনি একটি ফটো তুলবেন। আর বলবেন দেখ ছবি ভালো উঠছে না তাহলে কিছু হবে না। আপনি যে ফটোটি তুললেন, বাজে ছবিটি তুললেন, সেটি হতে পারে ওই অ্যাঙ্গেল থেকে ভালো দেখাচ্ছে না। আপনি যে অ্যাঙ্গেল থেকে ছবিটি তুলেছেন, সেই অ্যাঙ্গেল থেকে হতে পারে ছবিটিকে ভালো দেখাচ্ছে না। আপনি অ্যাঙ্গেল চেঞ্জ করে ছবিটি তুলুন, অনেক সময় ভালো দেখায়। আপনি সোজাসুজি ফটোটি তুলেছেন, আপনি নিজ থেকে, সাইট অ্যাঙ্গেল থেকে, মিডিয়াম অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোটি তুলুন দেখুন ফটো কোয়ালিটি কেমন হয়। অনেক সময় অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করলে ফটোটা সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।