আগের দিন আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম jiohotstar ডোমেন টিকে নিয়ে কোম্পানিতে মামলা চলছে। কিন্তু এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, ওই অ্যাপস ডেভেলপার ছেলেটি ডোমেন টিকে বিক্রি করে দিয়েছে দুবাইয়ের দুটি ছেলে মেয়েকে। রহস্য এখন সম্পূর্ণ ঘুরে গিয়েছে কোম্পানির হাতে এখন আর কোন আফসানে থাকলো না। এইবারে মামলা হবে আন্তর্জাতিক ঘাটে এবং সেখানে যে মামলা হবে সেটাকে মানতে বাধ্য সবাইকে।
আপনি যদি ঘটনাটি না জানেন আপনাকে বলি, জিও সিনেমা এবং ডিজনি প্লাস হটস্টার এই দুটি এক সঙ্গে মার্চ হয়ে, একটি বড় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবেন আম্বানি। যেটির নাম হবে জিও হটস্টার, কিন্তু এই কোম্পানিটি স্থাপিত হওয়ার আগেই এর ডোমেন টী দিল্লির একজন ডেভেলপার ছেলে নিজের নামে রেজিস্টার করেন। ফলে কোম্পানি যখন ডোমেন কিনতে যায় দেখে আগে থেকেই কেউ ডোমেটিকে কিনে রেখেছে। কিন্তু কোম্পানি ছেলেটির কাছ থেকে ডোমেটি কিনতে চাইলে যে পরিমাণ অর্থের দাবি ছেলে টি করেছিল সেটির কোম্পানি দিতে নারাজ। কোম্পানির তরফ থেকে ছেলেদের বিরুদ্ধে আইনি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এখন জানা যাচ্ছে যে ছেলেটি এই ডোমিন টিকে বিক্রি করে দিয়েছে দুবাইয়ের এক দাতব্য সংস্থাকে। আর এটি স্পষ্ট হয়েছে ডোমেনটির ভেতরে থাকা ইনফরমেশনগুলির উপর ভিত্তি করে।
জানা যাচ্ছে যে জিও হটষ্টার ডটকম টি নতুন হোম পেজ তৈরি হয়েছে। এই হোমপেজে ছবিতে দেখা যাচ্ছে দুবাইয়ের দুই কিশোর কিশোরীর এরা দুজনে স্বভাবতই এই ডোমেন টিকে কিনেছে বলে জানা যাচ্ছে। এরা দুজনেই ভাই বোন এদের নামটি হলো জয়নাম এবং জীবিকা। এরা সাধারণত ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে সংস্থা চালিয়ে থাকে এবং সমাজ সেবামূলক কাজকর্ম করে থাকে।
ওয়েবসাইটের হোম পেজে লেখা রয়েছে এরা গ্রীষ্মকালে ছুটি কাটাতে ভারতবর্ষে এসেছিল, তারা বিগত ৫০ দিন ভারতবর্ষে কাটিয়েছে এবং বিভিন্ন জাতের শিশুদের সঙ্গে দেখা করেছে। জয়নাম জানিয়েছে তারা শিশুদের লক্ষ্য পূরণের জন্য অনুপ্রাণিত করে, শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করে, তাদের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে।
ওয়েবসাইটের হেডলাইনে স্পষ্টভাবেই লেখা রয়েছে ভারতবর্ষ থেকে ফেরার সময় আমরা এই ডোমেটি কিনেছি ওই সফটওয়্যার ডেভলপার ছেলেটির কাছ থেকে। আমরা এই ডোমেটি কিনেছি তার সুবিধার্থের জন্য। যাতে পরবর্তীকালে তাকে আর কোন বিপদে পড়তে না হয়। ছেলে-মেয়েটির এই কথায় অনেক ট্রোল করেছে অনলাইনে ব্যবহারকারীরা।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে মামলা কোন দিকে ঘুরবে। এই দুই কিশোর কিশোরী আসলে ভারতের বাসিন্দা নয়। তাই এখন আম্বানির কাছে আর কোন অপশন নেই। এটা এখন ভারতের আইনি মামলার মধ্যে আর নেই। এখন এটা বিচার হবে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক লেভেল। হয়তো এবার মুকেশ আম্বানি কে সেই পরিমাণ টাকা দিতে হবে যত টাকা তারা চাইবে।
জয়েন থাকুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ বিষয়ে আরো লেটেস্ট আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য।