শুয়ে থাকলে ঘুম আসতে চায়না, এমন একটি পদ্ধতি ঘুম পাবেই! এটা গ্যারান্টি

PRADIP
By PRADIP
5 Min Read

আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং চন্মনে রাখত শরীরের পর্যাপ্ত ঘুমের অবশ্যই প্রয়োজন। দেখবেন যেদিন ঘুম ভালো হয়ে থাকে, সেই দিন শরীর ফিট থাকে পাশাপাশি মন ও ভালো থাকে। আবার যেদিন ঘুম ভালো হয় না সেইদিন শরীরটা দুর্বল লাগে, মনটা হতাশ গ্রস্ত লাগে। সারাদিনটাই যেন বেকার ভাবে কাটতে লাগে। তাই ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যদি পর্যাপ্ত এবং সঠিক ঘুম না হয় তাহলে আমাদের শরীরে নানান রকম রোগের আক্রমণ হতে থাকবে।

Telegram Group Join Now

রাতের বেলা বিছানায় শুয়ে ঘুম না আসার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। তবে আপনার মানসিক সমস্যা এবং খাদ্যা ভাসের সমস্যার কারণে রাতের বেলা ঘুম আসার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমানোর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যদি কোন ব্যক্তি সাত ঘণ্টার থেকে বেশি ঘুমিয়ে থাকে প্রতিদিন তাহলে সেই ব্যক্তির পরবর্তীকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই থাকে।

আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন বিভিন্ন মোটিভেশনাল স্পিকার থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা বলে থাকে। মেহনত করুন, রাত জেগে কাজ করুন, একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখবেন। তারা কিন্তু তাদের প্রোডাক্টে বিক্রি করার জন্য এমনটা বলছে। আপনি হয়তো তাদের কথা শুনে রাত জেগে দেখেছেন, কেমন ফিল হয়। পরের দিন সকালে পুরো দিনটাই বেকার লাগে। সরি দুর্বল লাগে, চোখের মধ্যে সব সময় যেন একটা ঘুম ঘুম ভাব থাকে, কাজের প্রতি কোন ইচ্ছে জাগে না, খাওয়া-দাওয়ার প্রতি অনীহা।

তাই বলবো সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের কথা সোনা বন্ধ করুন। নিজের বাস্তব জীবনে আসুন এবং নিজের বাস্তবতা অনুযায়ী চিন্তা করুন। আপনি যদি প্রতিদিন সঠিক সময় ঘুমান এবং পর্যাপ্ত প্রতিদিন দৈনিক ৬ থেকে ৭ ঘন্টা করে ঘুমাতে পারেন। আপনার শরীর ভাল থাকবে পাশাপাশি মন ভালো থাকবে। কাজের প্রতি এনার্জি আসবে, কোন কাজ করতে মনের মধ্যে প্রবল ইচ্ছা জাগবে। খাওয়া দাওয়া ভালোভাবে হবে। দিনের শেষে আপনার এইটুকু মনে হবে যে আজকের দিনটি আমার খুব ভালোভাবেই কাটল।

আপনি কি জানেন প্রতিদিন রাত্রে আপনি যে রাত জাগার অভ্যাসটি তৈরি করছেন। তার ফলে আপনার শরীরে কি কি রোগের সংক্রমণ হতে পারে। এর ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে, রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে, হৃদরোগের সমস্যা বাড়বে, আপনি ডিপ্রেশনে ভুগতে শুরু করবেন। আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে, যদি আপনার শরীরির সাথে না থাকে তাহলে আপনি কোন কাজটি করবেন। পাশাপাশি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটবে। কি লাভ এইভাবে ঘুমকে ফাঁকি দিয়ে কোন কাজ করার।

আবার কিছু কিছু ব্যক্তির রয়েছেন যারা বিছানায় শুয়ে তো থাকেন কিন্তু চোখের পাতায় ঘুম আসেনা। বিছানাতে শুয়ে পড়লে নানা ধরনের মানসিক চিন্তা, যার ফলে সারারাত ঘুমিই আসে না। ফলে পরের দিন সকালে কোন কাজের উপরে মন লাগতে চায় না। আপনি তাহলে কিভাবে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবেন।

আসুন আজ আপনার জন্য বিশেষজ্ঞদের দেওয়া কিছু সাধারণ উপায়, যেগুলি ব্যবহার করে আপনি রাতের বেলা বিছানায় শোয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে ঘুম চোখের পাতায় জড়িয়ে আসবে।

প্রথমত রাতে যখনই আপনার চোখে ঘুম আসবে তখনই শুয়ে পড়ুন। ঘুম চোখে কাজ করবেন না। শরীর চাইছে সেই মুহূর্তে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। তবে দিনের বেলা এই কাজটি করতে যাবেন না।

প্রতিদিনের একটি টাইম টেবিল তৈরি করুন। একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন অবশ্য সেই টাইম টেবিল টিতে ম্যাক্সিমাম ছয় থেকে সাত ঘন্টার টাইম টেবিল হওয়া উচিত।

আপনি যদি প্রতিদিন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে আলাদা বিষয়। কিন্তু যদি আপনার দুপুরে কোন কাজ না থাকে তাহলে কিছু না কিছু কাজ করতে থাকুন। দুপুর বেলাতে ঘুমাবেন না। তাতে আপনার রাতের ঘুমের সমস্যা হতে পারে। চেষ্টা করুন ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি টাইম ঘুমানোর জন্য।

রাতের বেলা ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনার মোবাইল টিকে কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে দূরে সরিয়ে রাখুন। পাশাপাশি রাত্রিতে কোন কফি কিংবা চা পান করবেন না।

আপনার রুম টিকে ঘুমের উপযুক্ত করে তুলুন, রুমের মধ্যে যদি গোমট ভাব থাকে তাহলে কিন্তু ঘুম আসবে না। তাই রুমটিকে ঠান্ডা করুন পাশাপাশি ঘুমানোর আগে রুমের লাইট বন্ধ করে ঘুমান।

আপনার বিছানা টিকে ঘুমানোর জন্য উপযুক্ত করে তুলন। শক্ত বিছানাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে না, তাই বিছানাটি যাতে নরম হয় সেরকম চেষ্টা করুন।

বিছানাতে শুয়ে থাকা অবস্থায় যদি ঘুম না আসে তাহলে একটু রাস্তা থেকে বা বাড়ির মধ্যে পায়চারি করুন এবং তারপর ঘুমাতে যান।

একান্তই আপনার যদি ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার বিশ্বস্ত ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Share This Article
Leave a comment