আয়ুর্বেদি সাস্ত্রে নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার। বড় বড় রিসার্চ এর মাধ্যমে জানা গেছে যে নিম পাতার গুণাগুণ এতটাই, যে যেকোন ওষুধের দ্বারাও সম্ভব হয় না। এটি যেমন কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য খুবই উপকারী আবার কিছু কিছু ব্যক্তির কাছে খুবই খারাপ।
নিম পাতার গুনাগুন
একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেন দেখতে পাবেন, অনেকেই রয়েছে যারা প্রত্যেকদিন নিম পাতার নির্যাস এবং হলুদকে একসঙ্গে মিক্সিং করে মুখে ত্বকে লাগিয়ে থাকেন। এতে আমাদের ত্বক যেমন উজ্জ্বল হয়, তেমনি আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন কিছুটা নিমপাতা গরম জলে ফুটিয়ে নিয়ে ওই জল টিকে ঠান্ডা জ্বরের সঙ্গে মিক্সিং করে স্নান করতে পারেন। দেখবেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে।
প্রতিদিন সকালে তিনটি থেকে চারটি করে নিম পাতা খান। আপনার হজম জনিত সমস্যা যদি ধীর গতিতে হয়ে থাকে, কিংবা পেটে থাকার টক্সিন গুলিকে ইউরিন এবং মলের মাধ্যমে শরীর থেকে বার করে দেয় এই নিম পাতা।
আপনার যদি সব সময় বমি বমি ভাব হয়ে থাকে, ব্রণ জনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে নিম পাতার নির্যাস প্রতিদিন খেলে। আপনার সমস্যা থেকে তাড়াতাড়ি সমাধান পাবেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের এমনটা মনে করে থাকেন।
আপনার ত্বক পরিষ্কার করতে, মুখের দুর্গন্ধ কে কমাতে, হাড়কে মজবুত করতে প্রত্যেকদিন নিমের ডান্ডা দিয়ে দাঁতের ব্রাশ করতে পারেন।
আয়ুর্বেদিক ডাক্তাররা বলে থাকেন প্রতিদিন সকালে তিন থেকে চারটি নিম পাতা খালি পেটে খান। এতে আপনি নানান ধরনের ব্যাকটেরিয়া রোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবেন।
কোন ব্যক্তি এই নিম পাতা থেকে দূরে থাকবেন।
নিমের উপকারী গুণ যেমন প্রচুর রয়েছে, তেমনি কিছু কিছু ব্যক্তির কাছে এটি খেলে কিন্তু বিষের মতো কাজ করতে পারে। নিম পাতা আপনার ত্বকে লাগালে যদি দেখেন ত্বকে অ্যালার্জির দেখা দিচ্ছে, তাহলে এটিকে মাখা বন্ধ করুন। আপনার কিডনি কিংবা লিভারের সমস্যা থাকলে তাহলে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন, তারপর এই নিম পাতা ব্যবহার করবেন। ফ্যামিলিতে যদি বিবাহিত মহিলা থেকে কিংবা যারা নতুন নতুন বিয়ে করেছে সন্তান নিচ্ছেন অথবা গর্ভবতী মহিলাদের নিপাতপাত না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ নিম পাতা খেলে প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় তাই এটি যে কোন মুহূর্তে বিপদ ডেকে আনতে পারে।